দেশের শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন দুটোই নিম্নমুখী ছিল। আলোচ্য সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৩ শতাংশ কমেছে।
শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন দুটোই নিম্নমুখী ছিল। আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৩ শতাংশ কমেছে। এ সময় এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৩ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের ডিএসইএক্স সূচক এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৪২২ পয়েন্টে। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৫৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩০ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯৮৫ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে প্রায় ৩২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ২০৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪৫টির দর। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৭টির।
গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি, রেনাটা, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ও সিটি ব্যাংকের শেয়ার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ১ হাজার ২৭০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৪ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এছাড়া ৯ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। আর বস্ত্র খাতের দখলে ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে সব খাতের শেয়ারে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল সেবা, সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা খাত। এ তিন খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৮, ৬ দশমিক ৯ ও ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।