প্রচলিত পদ্ধতিতে একই জমিতে বারবার চারা উৎপাদন করায় জমির রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মাটি ছাড়াই চারা উৎপাদন করলে অল্প খরচে সুস্থ–সবল চারা উৎপাদন করা যায়। চারা তৈরি জন্য ট্রে, প্লাস্টিকের গ্লাস, নেট, নারিকেলের ছোবলাসহ যাবতীয় কাঁচামাল কিনে খুব সহজেই কৃষকরা চারা উৎপাদন শুরু করতে পরেন।
বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, টমেটোসহ নানা ধরনের সবজির চারা এখন মাটি ছাড়াই উৎপাদন করছেন অনেক কৃষক। মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করছেন প্লাস্টিকের ট্রে ও প্লাস্টিকের ছোট ছোট গ্লাসে কচুরিপানা ও কোকোডাস্টের (নারিকেলের ছোবড়া) সংমিশ্রণ।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন এ পদ্ধতিতে চারা তৈরিতে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। বেশ কয়েকটি নার্সরি ঘুরে দেখা যায় প্লাস্টিক ট্রেতে বীজ বপন করা হচ্ছে। মাটির বদলে নারকেলের ছোবড়া থেকে তৈরি কোকোপিট প্রক্রিয়াজাত ও জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করা হয়েছে। চারার সুরক্ষার জন্য ওপরে শেডনেট জুড়ে দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
নারিকেলের ছোবড়া, গোবর, কচুরিপানাসহ প্রয়োজনীয় কিছু রাসায়নিক সার দিয়ে ১৫ দিন ঢেকে রাখার পর সেগুলো আস্তে আস্তে পচে যায়। পরে সেগুলো গুঁড়া করে পরিমাণমতো ট্রে ও গ্লাসে দিয়ে বীজ বপন করা হয়। তিন দিনের মধ্যে বীজ থেকে অঙ্কুর বের হয় এবং ১৫ দিন পরে চারা বিক্রির উপযোগী হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে কোকোপিটের মিশ্রণে ট্রে পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চারা মাটিবাহিত রোগ–বালাই থেকে মুক্ত থাকে। কোকোপিট মাটির তুলনায় অনেক হালকা। এতে চারা স্থানান্তরের সময় গাছের গোড়া আঘাতপ্রাপ্ত হয় না।
আরো পড়ুন- পাহাড়ে মাল্টায় উজ্জ্বল সম্ভাবনা