ওজন কমাতে রোজ কতটুকু হাঁটবেন  

ওজন

শরীরের বাড়তি মেদ ওজন দূর করতে প্রত্যেকেরই রোজ কতটুকু হাঁটা উচিত। তবে আমরা অনেকেই জানি না প্রতিদিন কতটুকু হাঁটা ওজন কমানোর জন্য জরুরি। দিনে অন্তত পাঁচ মাইল হাঁটা উচিত।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘ব্রাজিলিয়ান জার্নাল অফ ফিজিকাল থেরাপি’তে অন্তর্ভুক্ত ২০১৬ সালের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে জানানো হয়, স্থূলকায় একজন মানুষ প্রতিদিন যদি ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটেন (প্রায় ৫ মাইল) তবে সে ১২ সপ্তাহে গড়ে ৩.৪ পাউন্ড বা দেড় কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হন।

তবে ওই ব্যক্তি যদি কর্মচঞ্চল থাকেন, তা হলেও হাঁটতে হবে ৫ মাইলের মতো।

হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. উত্তম কুমার দাস এ বিষয়ে বলেন, সুস্থ থাকতে হলে একজন মানুষকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন।  এমনভাবে হাঁটতে হবে যেন শরীর থেকে ঘাম ঝরে যায়।

‘এ ছাড়া বয়স এবং কর্মক্ষমতার ওপর ওজন কমাতে হাঁটার পরিমাণ নির্ভর করে। আর ওজন কমাতে শুধু হাঁটা ও শরীরচর্চা করলেই হবে না , খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না।’

২০০৮ সালে করা ‘জার্নাল অফ ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড হেল্থে প্রকাশিত তিন হাজার সুস্থ অংশগ্রহণকারীর পর্যবেক্ষণমূলক একটি গবেষণার ফলে দেখা গেছে, ওজন কমাতে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীদের দৈনিক অন্তত ১২ হাজার পদক্ষেপে (প্রায় ৬ মাইল) হাঁটতে হবে।

পুরুষেরও একই দূরত্বে হাঁটতে হবে বয়স ৫০ পর্যন্ত। এর পর মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে ১১ হাজার পদক্ষেপে অর্থাৎ প্রায় সাড় ৫ মাইল।

৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের নিতে হবে ১১ হাজার পদক্ষেপ।

‘ওবেসিটি’ জার্নালে ২০১২ সালে করা একটি গবেষণার ফল থেকে জানানো হয়, অংশগ্রহণকারীরা ১২ মাসে শুধু ব্যায়াম করে ২.৪ শতাংশ শরীরের মেদ কমিয়েছেন। অন্যদিকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং ব্যায়াম করে মেদ কমেছে গড়ে ১০.৮ শতাংশ।

আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, সব ধরনের হাঁটা একই ফল বয়ে আনে না।

‘দি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেসের দেয়া ‘ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি গাইড লাইনস ফর আমেরিকানসে বলা হয়েছে– প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি-কঠিন মাত্রার ব্যায়াম করা উচিত। অথবা সপ্তাহে ৭৫ মিনিট অতিকঠিন-অ্যারোবিক-শরীরচর্চা করা দরকার।

আরও পড়ুনঃ- যে সব খাদ্যে মুহূর্তেই কমবে মাথাব্যথা

দ্রুত হাঁটা হতে পারে মাঝারি-কঠিন মাত্রার ব্যায়াম। আর অতি-কঠিন-অ্যারোবিক-শরীরচর্চা হতে পারে ঢাল বেয়ে দৌড়ে ওঠা, জগিং, পাহাড় বাওয়া ইত্যাদি।

তবে যে কোনো শারীরিক কর্মকাণ্ডই শরীরের মেদ ঝরায়। আর দিন শেষে সেটিই শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।